Personal Loan Bangladesh

Personal Loan/পারসোনাল লোন কি?

Personal Loan
পারসোনাল লোন ওরফে ইমারজেন্সি লোন হচ্ছে একটি অসুরিক্ষিত লোন যেটা  ব্যাক্তিগত বা সাংসারিক যে কোনো প্রয়োজন মেটাতে চালু হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০ প্লাস ব্যাংক এবং নন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে পারসোনাল লোনের সুবিধা চালু রয়েছে।

লোনটি কাদের জন্য?

-সরকারি, আধা সরকারী, বেসরকারি, স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসায়ী, স্বনির্ভর ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার এবং এমপিও-তালিকাভুক্ত স্কুল ও কলেজে কর্মরত সবার জন্যই পারসোনাল লোনের সুবিধা রয়েছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের”পারসোনাল লোন” ইবুকটি।

আপনাদের নানান প্রশ্নঃ

যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগূলো আপনারা ইগনোর করেনঃ

পেশাভিত্তিক কি বা কেমন অভিজ্ঞতা এবং কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ?

১) চাকরিজীবিদের জন্য

– যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবেন সেই প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে চাকুরির অভিজ্ঞতা কতদিন লাগবে। কিন্তু নুন্যতম ১ বছরের অভিজ্ঞতার সাথে সাথে ১ বছরের স্থায়িত্ব এবং প্রার্থীর বয়স নুন্যতম ১৫ এবং সর্বনিন্ম বেতন ১৫,০০০ টাকা হলে, মোটামুটি প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই চেষ্টা করা যেতে পারে। আবেদনের জন্য যে কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবেঃ 

  • NID কার্ড,
  • ছবি,
  • কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র,
  • বেতন বিবরনী,
  • নিয়োগ পত্রের কপি,
  • প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড,
  • দুজন জামিন্দার, একজন পরিবার থেকে – আরেকজন কলিগদের থেকে, তাদের NID কার্ড, (যদি বাধ্যতামূলক থাকে) 
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষক হলে এমপিওর কপি।
  • শেষ ৬ মাসের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট
  • ৫ লক্ষ টাকার ঋণের ঊর্ধ্বে সর্বশেষ ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট/সর্বশেষ ট্যাক্স রিটার্ন রসিদ

বিস্তারিত জানতে পড়ুন “পারসোনাল লোন” ইবুকটি। 

২) স্বনির্ভর দাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য

সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে স্বনির্ভর পেশাদার(দাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার)দের সংশ্লিষ্ট পেশায় ন্যূনতম ১ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। ন্যূনতম নেট মাসিক আয়  ৩০,০০০/- টাকা হলে আবেদন করা যায়। পেশাদার হতে হতে প্রায় সবাই ২৫/২৬ বছর ছুঁয়ে ফেলে তাই স্বনির্ভর পেশাদার(দাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার) হলে বয়স নিয়ে ভাবার দরকার নেই। তাই শুধুমাত্র আপনার মাসিক ইনকাম ক্যাপাবিলিটির উপর ডিপেন্ড করছে আপনার লোন পাওয়ার সম্ভবনা। প্রফশনালদের জন্য যে কমন ডকুমেন্টসগুলো রেডি করতে হয়ঃ

  • দুই কপি ছবি (আবেদনকারী এবং সহ-আবেদনকারীদের প্রত্যেকে)

  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ বৈধ পাসপোর্ট/ বৈধ ট্রেড লাইসেন্স/ জন্ম নিবন্ধন প্রশংসাপত্রের কপি (আবেদনকারী এবং সহ-আবেদনকারীদের প্রত্যেকের)        
  • সদস্যপদ কার্ড/পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপি
  • শেষ ৬/১২ মাসের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট
  • সর্বশেষ ৫ বছরের আপ-টু-ডেট ট্রেড লাইসেন্স (যদি প্রযোজ্য হয়)    
  • E-TIN প্রশংসাপত্র এবং সর্বশেষ ট্যাক্স সার্টিফিকেট/কর স্বীকৃতির রসিদ কপি।
  • সি.ভি.
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ের স্ব-ঘোষণা/আয় প্রশংসাপত্র।

বিস্তারিত জানতে পড়ুন “পারসোনাল লোন” ইবুকটি।

৩) ব্যবসায়ীদের জন্য

পারসোনাল লোন প্রোগ্রামটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের কৌতুহলের শেষ নেই। কারণ ইমিডিয়েড লোন ব্যবসায়ীদেরই বেশি দরকার পরে থাকে। ব্যবসায়ীগণ নিজেদের মালিক হওয়ায় তাদের জন্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম বা শর্ত দুটোই বেশি প্রয়োগ করে থাকে। যেমন ব্যবসায়িদের আবেদনের জন্য প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই নুন্যতম ৩০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে ইনকাম চেয়ে থাকে। সেই সাথে নুন্যতম ৩ বছরের ননস্টপ ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতা। কিন্তু এসব লিমিটেশনের মাঝে একটি স্বস্তিদায়ক বিষয় হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেন চাকুরীজীবীদের থেকে ভালো হওয়ায় উনারা চাকুরিজীবিদের থাকে বেশি এমাউওন্টের লোন পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীদের যেসব কমন ডকুমেন্টসের প্রয়োজন পরেঃ

  • ঋণ আবেদনকারী এবং গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • ঋণ আবেদনকারী এবং গ্যারান্টারের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • অংশীদারিত্বের উদ্বেগের/ সম্পৃক্তির জন্য নিবন্ধিত অংশীদারি দলিল
  • লিমিটেড কোম্পানির জন্য MOA এবং ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট
  • শেষ ১২ মাসের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট
  • আপডেট করা ট্রেড লাইসেন্স
  • কোম্পানির TIN, BIN, VAT সার্টিফিকেট এবং কোম্পানির বিজনেস কার্ড (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • পার্টনারশিপ ব্যবসার জন্য রেজিস্টার্ড পার্টনারশিপ ডিড (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • লিমিটেড কোম্পানির জন্য এমওএ ও ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)

বিস্তারিত জানতে পড়ুন “পারসোনাল লোন” ইবুকটি।

৪) আগামীর প্রবাসীদের জন্য

যারা বৈধ চাকরির ভিসা নিয়ে বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন বা বিদেশে কাজের জন্য ইচ্ছুক তাদের জন্য বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকই প্রবাস লোন দিচ্ছে। প্রবাস লোনের পরিমাণ (৫০,০০০ টাকা থেকে ৩,০০,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত) এবং মেয়াদ দুটোই কম ( ১ বছর থেকে ৫ বছর) হয়ে থাকে। এর কারণ যারা প্রকৃতপক্ষ্যেই বিদেশ যাবার জন্য আর্থিক সহায়তা খুজছেন এবং লোন পরিশোধ করার সাধ্য রয়েছে তাদেরকে টার্গেট করা। কোন কোন ব্যাংক জামানতের সাথে পরিবারের মধ্য হতে কাওকে গ্যারান্টরও নিয়ে থাকে। প্রবাস লোনের একটি পজিটিভ দিক হচ্ছে ইনকাম ব্যাতীতও আপনি আবেদন করতে পারবেন নুন্যতম ১৮ বছর বয়স হলেই। লোন পরিশোধ করবেন কিস্তির মধ্যমে। যে ব্যাংকগুলো প্রবাস লোন দিচ্ছে তারা যে কমন ডকুমেন্টসগুলো চেয়ে থাকেঃ

  • আবেদনকারী এবং জামিনদাতার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আবেদনকারী এবং জামিনদাতার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি।
  • সর্বশেষ ইউটিলিটি বিল (গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ)।
  • আবেদনকারী এবং জামিনদাতার ভিজিটিং কার্ড বা অফিস আইডি (যদি থাকে)।
  • সর্বশেষ ট্যাক্স সার্টিফিকেট বা ই-টিআইএন।
  • আবেদনকারী এবং জামিনদাতার ব্যক্তিগত নিট সম্পদের বিবরণ
  • সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদের কপি।
  • বিএমইটি দ্বারা অনুমোদিত নিশ্চিত যাত্রার তারিখসহ বিমান টিকিটের কপি
  • ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ।
  • সংশ্লিষ্ট কনস্যুলেট/হাই কমিশন/দূতাবাস থেকে প্রদত্ত ভিসা এবং শ্রম চুক্তির কপি

বিস্তারিত জানতে পড়ুন “পারসোনাল লোন” ইবুকটি।

সুদের হার, আবেদন পদ্ধতি

 আমি আগেও বলেছি ব্যাংক টু ব্যাংক বা নন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে পারসোনাল লোনের ইন্টারেস্ট রেট আপ-ডাউন হতে থাকে। কিন্তু তার মান এই না যে প্রতিনিয়ত প্রতিমাসেই সেটা অনবরত চেঞ্জ হচ্ছে। যেমন বর্তমানে বছর শেষে প্রায় সকল ব্যাংকেই তেমন আপডেট আসেনি, আগের রেটেই চলছে। আবার আবেদনের বিষয়টি নিয়ে অনেকে কনফিউশনে থাকেন। যে অনলাইনে না অফলাইনে? সদুত্তর হচ্ছে সব ব্যাংকে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ নেই আবার অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে রয়েছে যেখানে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। একটি ভিডিও বা আর্টিকেলে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো আর্থিক প্রতিষ্টান যেগুলোতে “পারসোনাল লোন” সুবিধাটি চালু রয়েছে, সেগুলোর বর্তমানে “ইন্টারেস্ট রেট” কত, কিভাবে আবেদন করতে পারবেন, কতদিন মেয়াদে লোন নিতে পারবেন, লোন টেকওভারের সুবিধা আছে কিনা, আরলি সেটেলমেন্টের অপশন আছে কিনা, ব্যাংক টু ব্যাংক লোন ট্রান্সফারের সুবিধা আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়াদী বলা সম্ভব নয়। তাই  আমাদের “পারসোনাল লোন” ইবুকটি পারসোনাল লোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে  সাজিয়েছি। ই-বুকটি আপনাকে আজকে এই সরকারি ব্যাংক বা কালকে ওই বেসরকারি ব্যাংকে শুধুমাত্র তথ্যের জন্য পায়চারি করে যে সময় এবং টাকা অপচয় হতো সেটি সেইভ করার সাথে সাথে অভারঅল কোন ব্যাংকে আবেদন করা উচিৎ সেটিরও একটি ক্লিয়ার ভিশন দিবে। ধন্যবাদ।

Scroll to Top